মুখের দুর্গন্ধে বা নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধে ভূগছেন?? তাহলে জেনে নিন তা দূর করার উপায়।


[2]

নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধে  ভোগে এমন  মানুষ অনেক পাবেন আপনি । অন্যদের সঙ্গে মেলামেশা বা সামনা সামনি কথা বলার সময় বিব্রত হতে হয় একারণে। কিন্তুু  কেন হয় মুখের দুর্গন্ধ ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে দেখা যাবে বেশ কিছু শারীরিক সমস্যার ইঙ্গিত নিহিত থাকে মুখের গন্ধ উপসর্গটিতে। জেনে নেই ৬টি  শারীরিক সমস্যার কারণ


যেগুলোর কারণে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।

 

 ১/ এসিডিটির সমস্যা:

 

 এসিডিটির কারণে মুখে দুর্গন্ধ দেখা দিতে পারে। দীর্ঘদিনের এসিডিটির সমস্যা বদহজমের লক্ষণ। এই অবস্থায় কোন ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে এন্টিব্যাক্টেরিয়াল মাউথওয়াশ ব্যবহার করলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়।

 

 ২/ ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া:

 

 অনেক সময়  মুখ গহ্বরের ভেতরে থাকা ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়ার কারণে মুখে দুর্গন্ধের দেখা দেয়।

 এই ব্যাক্টেরিয়া যে মুখের স্বাধের অবনতি ঘটায় তাই নয় এই সব ব্যাকটেরিয়ার ফলে ব্যাহত হয় হজমের প্রক্রিয়াও ফলে ক্ষতি হয় গোটা শরীরেই।

 

  ৩/ ডিহাইড্রেশন:

  

  শরীরে পর্যাপ্ত জলের অভাব ঘটলেও দেখা দিতে পারে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধের সমস্যা এবং মনে রাখবেন এসব ক্ষেত্রে জল খাওয়াই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায়। কফি, কোলড্রিংস বা সোডা কখনোই জলের বিকল্প হিসেবে কাজ করতে পারে না।

  

  ৪/ ডায়াবেটিস:

  

  মুখের দুর্গন্ধ অনেক ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে। কাজেই দীর্ঘদিন সময়  নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধে ভূগলে আপনি ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত কিনা তা জেনে নিবেন।

  

  ৫/ কিডনির সমস্যা:

  

  কোন কোন কিডনির রোগের মুখের অভ্যন্তরে শুকিয়ে যায় এর ফলে মুখে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ দেখা দিতে পারে।

  

  ৬/ লিভারের সমস্যা:

  

  লিভারের নানাবিধ রোগে মুখে টক একটা স্বাদ অনুভূত হয়। যার কারণে মুখে দূর্গন্ধ দেখা দেয়।

  

মুখের দুর্গন্ধ দূর করার কিছু কৌশল 

  



 ১/ দিনে দুইবার দাঁত ব্রাশ করা।

 ২/ খাওয়ার পর কুলকুচি করে মুখ ধোয়া।

 ৩/ দাঁত ব্রাশ করার পর জিভ পরিষ্কার করা।

 ৪/ দাঁত মাজার আধ ঘন্টা আগে বা পরে অ্যান্ট-ব্যাকটেরিয়াল মাউথওয়াশ দিয়ে মুখ দোয়া কার্যকর উপায়।


নিয়মিত স্বাস্থ্য সক্রান্ত পরামর্শ পেতে sasthotips24.blogspot.com এর সাথেই থাকুন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.