জেনে নিন কিসমিস মানব দেহের জন্য কতটা উপকারি ফল।
[3]
কিসমিস খেয়ে ধ্বংস করুন দেহের নানা ধরণের রোগ বালাই। কিসমিস হলো আঙ্গুর ফলের শুকনা রুপ। কিসমিস কে শুকনা ফলের রাজা বলা হয়। সোনালী বাদামী রঙের চুপশানো ভাজ হওয়া ফলটি খুবই শক্তিদায়ক। এটি তৈরি করা হয় সূর্যের তাপ অথবা মাইক্রোওয়েভ ওভেন এর মাধ্যমে। তাপে ফ্রুক্রজগুলো জমাট বেধে পরিণত হয় কিসমিসে। আর এভাবেই আঙ্গুর শুকিয়ে তৈরি করা হয় মিষ্টি স্বাদের কিসমিস। কিসমিস রান্নার বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হলেও কিসমিস সাধারণত এমনি কেউ খায়না। আবার অনেকেই এটাকে খাওয়া ক্ষতি মনে করে থাকেন । অথচ এটি রক্তে শর্করার মাত্রা ঝামেলা তৈরি করে না।
এটি খেলে শরীরে রক্ত বৃদ্ধি পায়, পিৎ ও বায়ু সমস্যা দূর হয়। কিসমিস হৃদপিন্ডের জন্য অনেক উপকারী একটা শুকনো ফল।
তাহলে চলুন কিসমিসের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই।
১/ এটি দেহের শক্তি যোগায় দেহের শক্তি সরবরাহ করতে কিসমিসের অবদান অনেক বেশি। কিসমিসে চিনি, গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ তাৎক্ষণিকভাবে দেহে এনার্জি সরবরাহ করে থাকে। তাই দুর্বলতা দূরীকরণে কিসমিসের অবধান অপরিসীম।
2/ হজমে সাহায্য করে কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা দেহের পরিপাক ক্রিয়া দ্রুত হতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে।
৩/ হাড়ের সুরক্ষা করে কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা হাড় মজবুত করতে বেশ ভূমিকা পালন করে, প্রতিদিন কিসমিস খাওয়ার অভ্যাস হাড়ের ক্ষয় এবং বাতের ব্যথা দূর করে। তাছাড়া কিসমিসে আছে প্রচুর পরিমাণে বোরন যা অনেক জটিল রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে ।
৪/ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা আমাদের পরিপাক ক্রিয়া দ্রুত হতে সাহায্য করে।
৫/ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে কিসমিসে থাকা পটাশিয়াম যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
শরীরে থাকা উচ্চমাত্রার সোডিয়াম রক্তচাপ বাড়ার প্রধান কারণ কিসমিস শরীরে থাকা সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
৬/ কিসমিস চোখের জন্য খুব উপকারী কিসমিসে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চোখের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাছাড়া কিসমিস খেলে সহজে শরীরে বয়সের ছাপ পড়ে না। দৃষ্টি শক্তি হ্রাস ও চোখে ছানি পড়ে না।
৭/ কেলেস্টরল হ্রাস করে কিসমিসে কোন কোলেস্টরল থাকে না এমনকি এতে আছে অ্যান্টি-কোলেস্টরল উপাদান যা রক্তের খারাপ কোলেস্টরল কে হ্রাস করতে সাহায্য করে। কিসমিসে দ্রবণীয় ফাইবার লিভার থেকে কোলেস্টরল দূর করতে সাহায্য করে।
৮/ রক্তশূন্যতা দূর করে কিসমিসে আছে প্রচুর পরিমাণে লৌহ উপাদান যা রক্তশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে। রক্তশূন্যতার কারণে অবসাদ শারীরিক দুর্বলতা বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে এমনকি বিষণ্ণতাও দেখা দিতে পারে।
৯/ ইনফেকসন হতে বাধা প্রদান করে কিসমিসে রয়েছে পলিফেনলস,অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টি-ইনফ্লয়মেটরি উপাদান যা কাটা ছেড়া বা ক্ষত হতে ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
১০/ ক্যান্সার থেকে রক্ষা কিসমিসের এন্টি-অক্সিডেন্ট দেহের কোষ গুলো কে ফ্রিরেডিক্যাল র্যামেজের হাত থেকে রক্ষা করে এবং ক্যান্সারের কোষ উৎপন্ন হওয়ায় বাধা প্রদান করে।
১১/ ওজন বাড়াতে সাহায্য করে কিসমিসে কতগুলো গ্লোকোজ ও ফ্রুক্টুজ থাকে তাই এটি ওজন বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
যদি সঠিক সময়ে ওজন বাড়াতে চান তবে কিসমিস খেতে পারেন। তাছাড়া কিসমিসে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা দাঁত মজবুত করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
এ ছাড়া কিসমিসে থাকা বোরন নামক মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট হাড়ের ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। কিসমিসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা মানুষের অনিদ্রা সমস্যা দূর করে। কিসমিসে থাকা বোরন যা মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী কাজে মনোযোগ বাড়ে তাই আজই খাদ্য তালিকায় কিসমিস যোগ করুন।
নিয়মিত স্বাস্থ্য সক্রান্ত পরামর্শ পেতে sasthotips24.blogspot.com এর সাথেই থাকুন।
কোন মন্তব্য নেই