জ্বর, সর্দি, কাশি এবং ঠান্ডা দূর হবে এক নিমিষেই।


 

[13]

টক কিংবা মিষ্টি স্বাদযুক্ত দুই রকমের কামরাঙ্গা পাওয়া যায়। এই কামরাঙ্গা যেমন অনেকের প্রিয় খাবার আবার অনেকেরি অপছন্দেরও বটে। কিন্তুু আপনি জানেন কি ঔষধি গুন সমৃদ্ধ এই ফলটি শরীরের পুষ্টি পূরণ করার পাশাপাশি নানান রোগের প্রতিরোধ করে। এতে ভিটামিন A অল্প পরিমাণে থাকলেও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান উল্লেখযোগ্য পরিমাণে থাকে। এতে ভিটামিন C এর পরিমাণ আম, আনারস, এবং আঙ্গুরের চেয়ে বেশি থাকে কামরাঙ্গায়। আয়রণের পরিমাণ পাকা কাঠাল, পাকা পেপে, কমলা লেবু, লিচু ও ডাবের পানি থেকেও বেশি পরিমাণে থাকে।


চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কামরাঙ্গার উপকারি গুনগুলো সম্পর্কে।


১/ কামরাঙ্গা শীতল ও টক তাই কফ ও বাথ নাশক হিসেবে কাজ করে। তবে অদিক পরিমাণে কামরাঙ্গা বা তার জুস খেলে ক্ষতির সম্ভাবনাও রয়েছে।


২/ 2 গ্রাম পরিমাণ শুকনা কামরাঙ্গার গুড়া পানির সাথে মিশিয়ে দিনে একবার খেলে অর্শ রোগের উপকার পাওয়া যায়। 


৩/ কামরাঙ্গা ত্বক মসৃণ করে তোলে।


৪/ কামরাঙ্গার কচি পাতা ও ঢগা খেলে জল বশন্ত, বক্র কৃমি ও গুড়ো কৃমি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।


৫/ কামরাঙ্গা পুড়িয়ে খেলে ঠান্ডা জনিত সকল সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়।


৬/ কামরাঙ্গার মূল বিষ নাশক হিসেবে ব্যাবহৃত হয়।


৭/ কামরাঙ্গা ভর্তা খেলে মুখের রুচি ও হজম শক্তি বাড়ে।


৮/ পেটের ব্যাথায় কামরাঙ্গা খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। 


৯/ কামরাঙ্গার পাতা বা কচি ফলে রয়েছে টেনিন যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।


১০/  পাকা কামরাঙ্গা রক্ত খরণ বন্ধ করে।


11/ ফল ও পাতা গরম পানির সাথে সেদ্ধ করে পান করলে বমি ব্ন্ধ হয়।


12/ শুকনা কামরাঙ্গা জ্বরের জন্য খুবই উপকারি।



সুতরাং এই ফলটি আপনারা খেতে পারেন। উপরে যেসব রোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেসব রোগে কামরাঙ্গা খেতে পারেন ইনশাআল্লাহ অনেক উপকার পাবেন।

তবে তার থেকে জটিল সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।


পোস্টটি শেয়ার করে জন সাধারণের কাছে পৌঁছনোর সুযোগ করে দিন ।



[**নিয়মিত স্বাস্থ্য সক্রান্ত পরামর্শ পেতে 

sasthotips24.blogspot.com 

এর সাথেই থাকুন।

**এবং ফেসবুক পেজটি ফলো করতে পারেন।

Sasthotips24 স্বাস্থ্য টিপস২৪ ]


ধন্যবাদ 


কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.